হাইস্কুল পাসের আগেই মিলিয়নিয়ার ! নিক ডি’অ্যালিসিও!


১৬ বছরে মিলিওনিয়ার নিক ডি’অ্যালিসিও

প্রতিদিন বিশ্বে হাজারো ঘটনা ঘটে। সেখান থেকে সংবাদও প্রকাশ হয় অনেক। তবে এত খবরের ভিড়ে গুরুত্বপূর্ণ সব খবর যাছাই-বাছাই করা নিশ্চয়ই কষ্টসাধ্য। তা ছাড়া বিস্তারিত খবর পড়তে গেলেও অনেক সময়ের প্রয়োজন।

গুরুত্বপূর্ণ সব খবর ও এর সারাংশ নিয়েই কাজ করেছেন কিশোর নিক ডি’অ্যালিসিও। তার তৈরি করা লিনিয়ার অ্যালগরিদম খুঁজে বের করে বিশ্বের সেরা ও গুরুত্বপূর্ণ সংবাদগুলো এবং ওই সংবাদের সংক্ষিপ্ত করে সারাংশ আকারে প্রকাশ করে। এ প্রযুক্তিই তাকে বানিয়ে দেয় সেলফমেড মিলিয়নিয়ার।

নিক ডি’অ্যালিসিও ১৯৯৫ সালের ১ নভেম্বর যুক্তরাজ্যের লন্ডনে জন্মগ্রহণ করেন। এর পর সেখান থেকে পরিবারের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়া পারি জমান। পরে আবারও লন্ডনে ফিরে আসেন। ইউনিভার্সিটি অব অক্সফোর্ড থেকে উচ্চশিক্ষা লাভ করেন তিনি।

নিক ডি’অ্যালিসিও কম্পিউটার প্রোগ্রামার ও ইন্টারনেট উদ্যোক্তা। মাত্র ১৫ বছর বয়সে ট্রাইমিট নামক এক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক একটি অ্যাপস নির্মাণ করেন তিনি।

২০১২ সালের নভেম্বরে সাম্মলি (ঝঁসসষু) অ্যাপস বাজারে ছাড়েন নিক ডি’অ্যালিসিও। এক মাসের মধ্যে এই অ্যাপ ৫ লাখ গ্রাহক সংখ্যায় পৌঁছায়। একই সঙ্গে ২৮টি দেশে সংবাদ অ্যাপের মধ্যে শীর্ষস্থান অর্জন করে নেয়। এ ছাড়া ৫০টি দেশে সপ্তাহের সেরা অ্যাপের তালিকায় জায়গা করে নেয় সাম্মলি।

নিকের তৈরি এই অ্যাপ এক লাখের বেশিবার ডাউনলোড হওয়ার পর অ্যাপ স্টোর থেকে অ্যাপটিকে ফিচার করা হয়। এর পরই এ প্রযুক্তিকে নিজেদের করে নিতে উঠেপড়ে লাগে বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো।

২০১৩ সালের মার্চে ৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিময়ে নিক ডি’অ্যালিসিওর কাছ থেকে সাম্মলি অ্যাপ কিনে নেয় ইয়াহু। ফলে হাইস্কুল পাসের আগেই মাত্র ১৭ বছর বয়সে মিলিয়নিয়ার হয়ে যান তিনি।

টাইম ম্যাগাজিন নিককে বিশ্বের প্রভাবশালী ১০০ তরুণের তালিকায় ঠাঁই দেয়। তাকে নিয়ে ফিচার করে বিজনেস ইনসাইডার, ফোর্বস, টেক ক্রাঞ্চের মতো নামিদামি পত্রপত্রিকা ও ম্যাগাজিন।

২০১৩ সালের এপ্রিল থেকে ২০১৫ সালের অক্টোবর পর্যন্ত ইয়াহুতে প্রোডাক্ট ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন নিক। বর্তমানে স্পেহার (ঝঢ়যবৎব) সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও হিসেবে দায়িত্বরত আছেন। তার এই প্রতিষ্ঠান ৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ফান্ডিং পেয়েছে।

অ্যাপল ডিজাইন অ্যাওয়ার্ড, ফোর্বস থার্টি আন্ডার থার্টি, বিট্রিশ ইনস্পায়ারেশন অ্যাওয়ার্ড, স্প্রিরিট অব লন্ডন অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছেন নিক। এ ছাড়া ২০১৩ সালে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল ইনোভেটর অব দ্য ইয়ার সম্মাননা পান তিনি।

ইন্টারনেট থেকে পাওয়া তথ্য মতে, নিক ডি’অ্যালিসিওর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।



Post a Comment

Previous Post Next Post